পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে স্বরূপকাঠি পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে।কি সরকারি দল কিংবা বি এন পির স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। অবশ্য জামায়াতের কোন মেয়র প্রার্থী না থাকায় স্থানীয় জামায়াতের রাজনৈতিক মাঠ এক পর্যায়ে ঠান্ডা। তবে জাতীয় পার্টির অবস্থান তেমন শক্তিশালী নয় তারপর স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে মেয়র প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছে।তবে মজার বিষয় স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে বড় চমক স্থানীয় পৌর বি এন পির মধ্যে।দলের হয়ে ১০জন প্রার্থী মেয়র নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেন । এ ব্যাপারে পৌর বি এন পির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, বিগত সময়ের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলীয় ভাবে ১০ জনে মনোনয়ন ক্রয় করেন। সাবেক দুই মেয়র মোঃ মাহাবুব আহসান ও মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ সহ নুতন মুখের প্রার্থী ০৮ জন প্রতিনিধি রয়েছে। তবে উদীয়মান প্রার্থী হিসাবে মোঃ মিজানুর রহমান রিপন ও মোঃ কাওসার সিকদার রয়েছেন। অবশ্য মোঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ নাজমুল হুদা, কাজী আনিসুজ্জামান আনিস, আলহাজ্ব মোঃ কাজী কামাল, কাজী মোস্তফা কামাল চান ও মোঃ এমামুল ইসলাম খোকন রয়েছে ধানের শীষের প্রতিক পাওয়ার যুদ্ধে। এদিকে এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, বর্তমানে মাননীয় মন্ত্রী, সাদা মনের মানুষ ও শান্তির প্রতিক এ্যাড শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ থাকায় পৌর নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ পরিবেশ বজায় রেখে ।তাই সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আটঘাট বেধে নেমেছে এভারের পৌর নির্বাচনে।যদিও স্থানীয় বি এন পির রাজনৈতিক মাঠ দারুণ ভাবে শক্তিশালী না হলেও ভোটের মাঠে খুবই শক্তিশালী।অবশ্য ক্ষমতার দাপট না থাকায় শক্তির মহড়া দেখানোর শক্তি ও সাহস নিয়ে প্রশ্নবিদ্ব আছে যত্রতত্র ভাবে । তবে এবারের নির্বাচনে পেশী শক্তির নির্বাচন না হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলছে শুধু মাত্র শান্তিপ্রিয় মন্ত্রী থাকার কারণে।অবশ্য এবারের পৌর নির্বাচনে কলঙ্ক দাগ লাগাতে চায় না বর্তমান সময়ে স্থানীয় সরকার প্রধান ।এদিকে করোনার আতঙ্ক নিয়ে দারুণ শঙ্কা থাকা সত্বেও স্থানীয় পর্যায়ে পৌর ভোটারদের মধ্যে সেই ধরনের কোন শঙ্কা নেই বললেই চলে। তাই সরকারি দলের নেতা ও কর্মীরা কিছুটা চিন্তিত নৌকার টিকেট পাওয়া নিয়ে। তবে সেই দিয়ে বি এন পি রয়েছে দারুণ খোশমেজাজে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় পৌর নির্বাচনে বি এন পির সমর্থকরা। তবে ভিন্ন কথা বললেন পৌর সভার নির্বাচন নিয়ে বহু বি এন পির শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা। তাদের দাবী, পৌর নির্বাচনে দলের মধ্যে চলতি সময়ে আলহাজ্ব কাজী কামালের মতো সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া নেতা চায়। সময় উপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার মত দূর্দান্ত সাহসও আছে আলহাজ্ব মোঃ কাজী কামালের। বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা ভাবনা করলে কাজী কামাল সময়ের আলোচিত মেয়র প্রার্থী দলের পক্ষে। তবে ঠান্ডা মাথার রাজনীতির কথা চিন্তা ভাবনা করলে সাবেক মেয়র মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ একটু এগিয়ে। তবে বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা ভাবনা করলে কাজী কামাল সময়ের সেরা বলা যায়। তবে সাবেক মেয়র মোঃ মাহাবুব আহসানও দারুণ সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া নেতা বটে। যদিও রাজনৈতিক মাঠে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে কিছুটা পিছিয়ে। ব্যাপারে পৌর সভার ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে স্বল্প সময়ের জনমত জরিপে সাহসী নেতা হিসেবে কাজী কামাল একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে পৌর সভার নির্বাচন নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। তারপরও সকলের কাছে একটা বাড়তি গ্রহণ যোগ্যতা স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে পৌর বি এন পির বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নাম না প্রকাশের শর্তে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ ও মাহাবুব আহসানদের নির্বাচনে না আসাই উত্তম। তবে নুতন মুখের সন্ধানে আলহাজ্ব মোঃ কাজী কামালকে দলীয় ভাবে সাপোর্ট দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বেশির ভাগ শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা। অবশ্য দলের হয়ে ভিন্ন কথা বলেন এ প্রজন্মের নুতন মুখের পৌর ভোটাররা। তারা সরাসরি সাবেক দুই মেয়ররের পক্ষে নয়। বরং সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মত যোগ্য মেয়র প্রার্থী দরকার চলতি সময়ের রাজনীতির কথা চিন্তা করে। এ ব্যাপারে কথা হয় ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে ১০ জন বি এন পির মেয়র প্রার্থীর সাথে। তবে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে নুতন প্রজন্মের প্রার্থীরা একবাক্যে স্বীকার করেন সাবেক মেয়র মোঃ শফিকুল ইসলাম ফরিদ দারুণ ভিতু স্বভাবের নেতা তবে ভালো মানুষ নিঃসন্দেহে। আবার সাবেক মেয়র মোঃ মাহাবুব আহসান সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মত নেতা। শুধু দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে বর্তমানে ইমেজ সংকট। সর্বপরি সকলের একটাই কথা সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মত নেতা চাই। আর সেই বিবেচনায় আলহাজ্ব মোঃ কাজী কামাল বেশ এগিয়ে। তবে এ ব্যাপারে কথা হয় বি এন পির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ কাজী কামালের সাথে।তিনি অকপটে স্বীকার করেন আমি শতভাগ যোগ্য প্রার্থী। তাছাড়া স্থানীয় পৌরবাসীরা আমাকে চায়। তবে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে জানান।সর্বশেষ মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আমি শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।ইনশাআল্লাহ আমি ধানের শীষের প্রতিক পাওয়ার যুদ্ধে জয়ী হবো মহান আল্লাহর নাম নিয়ে।
Leave a Reply